শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ভারতের নীরবতা, বলল ‘বাংলাদেশ বন্ধু’

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে কি না—এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অবস্থান না জানিয়ে কৌশলীভাবে উত্তর দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশ দাবি করছে যে শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো ভারত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে?”
এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে রণধীর জসওয়াল বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হোক এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করুক।”
তবে মুখপাত্র ‘শেখ হাসিনা’ নামটি একবারও উচ্চারণ করেননি। বরং পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশলের ভেতরে রেখেই বক্তব্য প্রদান করেন। এতে বিষয়টি ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন—এমন দাবি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত প্রত্যাশিত। কিন্তু দেশটি সরাসরি কোনো অবস্থান না নেওয়ায় নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।
তারা আরও মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত কৌশলগত ও সংবেদনশীল। এ ধরনের ইস্যুতে ভারতের ‘ডিপ্লোমেটিক সাইলেন্স’ হয়তো ইচ্ছাকৃত এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় কূটনৈতিক দূরদর্শিতারই অংশ।
এদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সে বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বলায় বিষয়টি আরও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ককে সামনে রেখে আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়ে আরও স্পষ্টতা আসবে কিনা—তা এখন দেখার বিষয়।